সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের নয়াপাড়া মোচনী রেজিস্টার্ড শরনার্থী ক্যাম্প স্বশস্ত্র নুর কামাল গ্রুপের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। উক্ত ক্যাম্পে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নুর কামাল গ্রুপের প্রায় ৩০ জন স্বশস্ত্র সদস্য। ক্যাম্পে খুন খারাবী,অপহরণ চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে এমন কোন কাজ নেই যা তারা করেনা।
তাদের রোষানলে পড়ে অনেক রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করতেও বাধ্য হয়েছে। নুর কামাল গ্রুপের হাতে রয়েছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র। ফলে সাধারণ রোহিঙ্গারা ভয়ে তাদের সামনে মুখ খুলতে পারছেনা।
এবার তাদের সন্ত্রাসী আগ্রাসনের শিকার হয়েছে সাইফুল আরকানী নামক রোহিঙ্গা মিডিয়াকর্মীর পরিবার। সাইফুল আরকানীর পরিবার তথা তার বৃদ্ধ মা বাবাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে উক্ত ঘরে নুর কামাল গ্রুপের স্বশস্ত্র ক্যাডাররা অবস্থান করছে। সাইফুল আরকানী দীর্ঘ দিন ধরে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন মিডিয়ায় লাইভ ভিডিও সহ রোহিঙ্গাদের সমস্যা, প্রত্যাবাসন বিষয়ে ইতিবাচক ভুমিকা রেখে আসছে। সাইফুল আরকানী নয়াপাড়া (মোচনী) রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের আই ব্লকের বাসিন্দা। তার বৃদ্ধা মা,বোন,ভাই সহ ৮ সদস্য আই ব্লকে বসবাস করে আসছিল।
গত ৭ জুলাই (০৭/০৭/২০২৫) নুর কামাল গ্রুপের প্রধান নুর কামাল,হাশেম উল্লাহ,আব্বুইয়্যা,রফিক আয়াজ গং অতর্কিত ভাবে জোরপূর্বক সাইফুল আরকানীর বাড়িতে ঢুকে তার মা’বোন সহ সকলকে বের করে দেয়। বর্তমানে সাইফুল আরকানীর বাড়িতে নুর কামালের মা হামিদা বেগম, স্বামী: আবুল কালাম অবস্থান করছে। তার বৃদ্ধা অসুস্থ মা ও গর্ভবর্তি মহিলা, শিশু সহ তারা আশ্রয়হীণ হয়ে বিভিন্ন মানুষের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরছে। ক্যাম্পে শক্তিশালী আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান সত্বেও কি ভাবে অস্ত্রধারী নুর কামাল বাহিনী তাদের বাড়ি দখল করে? তা নিয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে নুর কামাল গ্রুপ মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান এনে ক্যাম্পের ভিতর মওজুদ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই দেয়। ইয়াবার চালানের সাথে ভারি অস্ত্র,বোমা এনে রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রি করে দেয়। যা দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শান্ত পরিবেশ কে অশান্ত করে তুলে। তাদের কারনেই বিশ্বের দরবারে রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে,ঘৃণিত হচ্ছে । কথিত
নুরকামাল গ্রুপের হাতে অনেক রোহিঙ্গা খুন গুমের শিকার হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হয়েছে অনেকেই।
এ বিষয়ে শরণার্থী ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা কক্সবাজারের ১৬ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) পুলিশ সুপার (এসপি) বলেন,বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো। তবে এটা সত্য যে হঠাৎ ক্যাম্পে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। ক্যাম্পে কীভাবে অস্ত্র এলো, বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারে যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে


















